Subscribe Us

এক চিমটি স্বপ্ন | #৩ মিষ্টি ভালোবাসার গল্প | এফ,টি,বাংলা |

.
-একি কি করলাম আমি?ওনার গালে কিস!!হায় আল্লাহ উনি কি ভাবছেন আমার ব্যাপারে..... ভাবতেই লজ্জায় তানিশার মুখ লাল হয়ে যায়.....
.
-দ্বীপ এখনো ছাদে দাঁড়িয়ে আছে।ওর যেন কথাটা বিশ্বাস ই হচ্ছে না।কিছুক্ষন দাঁড়িয়ে থেকে ও সিড়ি দিয়ে ছাদ থেকে নিচে নেমে যায়.....হাটতে হাটতে ও রুমে চলে যায়....
..
-দ্বীপ রুমে গিয়ে দেখে তানিশা ড্রেসিংটেবিলে বসে চুল শুকাচ্ছে।শাড়িটা পাল্টে নিয়েছে।একটা সবুজ শাড়ি পড়েছে।শাড়িটায় সুন্দর কারুকাজ করা,সাথে কালো হাফ হাতার ব্লাউজ।শাড়ির সাথে বেশ মানিয়েছে।তানিশা দ্বীপকে দেখেই মাথা নিচু করে ফেলে....
.
-বাহ!!সবুজ শাড়িতে ওকে অসাধারণ লাগছে।ওর লাজুক মুখটা দেখে আবার প্রেমে পড়তে ইচ্ছে হচ্ছে।ওর প্রেমে আমি হাজারবার পড়তেও রাজি আছি.....(দ্বীপ মনে মনে)
.
-দ্বীপ ওয়াশরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে জামা-প্যান্ট চেঞ্জ করে আসে।এরপর এসে তানিশার পিছনে দাঁড়ায়....
.
-এহম এহম....!!(দ্বীপ কাশি দিয়ে)
.
-তানিশা ওর দিকে একবার তাকিয়ে প্রশ্ন করে... 
.
- কিছু বলবেন??(তানিশা)
.
-আমি হেল্প করি??(দ্বীপ)
.
-তানিশা কিছু বলে না।দ্বীপ ওর হাত থেকে হেয়ার ড্রায়ার নিয়ে ওর চুলগুলো শুকিয়ে দিতে থাকে।ওর চুলগুলো বেশ সুন্দর।দ্বীপের বেশ ফেভারিট। সিল্কি রেশমি চুল দ্বীপের ফেভারিট......। 
.
-চুল শুকানো হয়ে গেলে।তানিশা চুলে খোপা করে রুম থেকে বেড়িয়ে যায়।দ্বীপ ও রুম থেকে বেড়িয়ে যায়।বাহিরে ওর কিছু কাজ ছিলো।একটা প্রোগামে অ্যাটেন্ড করতে হবে।ওখানেই লাঞ্চ করবে।দ্বীপ গাড়ি নিয়ে সেখানে চলে যায়।ওর দলের লোকেরা সেখানে গিয়ে ওর সাথে যোগ দেয়....
.
-দুপুরে তানিশা ঘুমিয়ে ছিলো।এক ঘুমে রাত ৯ টা বেজে গেছে কিন্ত ওর ঘুম ভাঙার খবর নেই।হটাৎ ঘুমের মাঝে ওর মনে হয় কেউ দুটো চোখ দিয়ে ওকে একদৃষ্টিতে দেখছে...
.
-তানিশা চোখ খুলেই চমকে ওঠে দ্বীপ ঝুকে শুয়ে আছে ওর দিকে।একদৃষ্টিতে দেখছে ওকে....
.
-ওনাকে এভাবে ঝুকে থাকতে দেখে আমি বেশ ভয় পেয়ে গেছিলাম।চোখ খুলে এভাবে কিছু দেখলে যে কেউ ভয় পাবে.....
.
-কি দেখছেন এমন করে??(ভ্রু কুচকে তাকিয়ে)
.
-তোমকে....(দ্বীপ)
.
-হুহ.....(ভ্রু-কুচকে)
.
-তুমি এতো সুন্দর কেন?ইচ্ছে হয় বারবার তোমাকে দেখি।আর এই নরম তুলতুলে গাল দুটোতে ইচ্ছে করে কামড় দেই।বাচ্চাদের মতো গাল দুটো.....(দ্বীপ)
.
-কিহহ!!কামড় দিবেন মানে!!(চোখ বড়বড় করে)
.
-হুম।আমার ইচ্ছে করে সারাদিন কামড়াতে থাকি নরম গাল দুটো.....(দ্বীপ)
.
-ওনার কথা শুনে আমার গায়ে ৩৬০ ভোল্টের একটা শক লাগলো।কি বাচ্চাদের মতো কথা বলছেন উনি!!যেই ডেভিল কামড় দেয়ার আগেও হয়তো একবার ও ভাববেন না উনি.....(তানিশা মনে মনে)
.
-এইযে আইসক্রিম কি ভাবছো....(গাল টেনে দিয়ে)
.
-নাহ কিছু না।....(তানিশা)
.
-আচ্ছা চলো ডিনার করে আসি.....(দ্বীপ)
.
-হুম.....(তানিশা)
.
-দুজনে গিয়ে খাবার টেবিলে বসে পড়ে।দ্বীপ খাচ্ছিলো হটাৎ ওর বাবা বলতে শুরু করে....
.
-দ্বীপ।তুমি কালকে তানিশাকে ওর বাবার বাসায় নিয়ে যাবে।বেয়াই কল দিছিলো৷......
.
-তানিশার মন খুশিতে ভরে ওঠে।অনেকদিন যাবত নিজের বাড়িতে যায় না।....
-কিন্ত বাবা কাল তো আমার কিছু কাজ ছিলো.....(দ্বীপ)
.
-দ্বীপের কথা শুনে তানিশার মুখটা কালো করে ফেলে।বিষয়টা দ্বীপের ও চোখ এড়ায় না।তানিশার কালো মুখটা দেখে দ্বীপের ও বেশ খারাপ লাগে...... 
.
-আচ্ছা কালকে নিয়ে যাবো।....(দ্বীপ)
.
-তানিশার মুখটা আবার খুশিতে ভরে ওঠে।খাওয়া শেষ করে রুমে যেতেই দ্বীপ ওর কোমড়ে হাত দিয়ে ওকে দেয়ালের সাথে চেপে ধরে.....
.
-মিসেস দ্বীপ আপনি আমার মতো রোমান্স কিং এর বউ হয়েও ঠিকমতো কিস করা শিখতে পারলে না ভেরি স্যাড....(দ্বীপ তানিশার চোখের দিকে তাকিয়ে.....)
.
-ওর কথা শুনে তানিশা লজ্জায় মুখ লাল করে নিচের দিকে তাকিয়ে থাকে....
.
-দ্বীপ ওর দুই গালে হাত দিয়ে চারঠোট এক করে দেয়।তানিশা দ্বীপের শার্ট আকড়ে ধরে আর দ্বীপ ওর হাত দিয়ে তানিশার মাথা শক্ত করে ধরে রাখে......
.
-...
.
.
-

Post a Comment

0 Comments